সমরেশ যখন দৌড় লিখল, কেউ লিখল প্রজাপতি । কেউ বসেছিল গোড়ালি অবদি গঙ্গার জালে পা ডুবিয়ে। শুকনো ফুল যেমন ভাসে, আর আমাদের ভাড়া করা মেঘগুলোর ভেতর ঐশ্বর্য রাই বিনোদিনীর সাজে ব্যগ্র করে তুলল বকুল গন্ধে। ওহে বকুল প্রিয়া, সত্য সাহা মিউজিক করছেন, ছিটকে ছিটকে বেরোচ্ছে ম্যাজেন্টা বিভা। টিটাগড়ে কোন এক কারখানার বন্ধ সাইরেনের মনিটরে বসে ছোট্ট চড়াই ডাকে, টগরফুল, ও টগরফুল।
একে একে তারা সব ফুল হয়ে যায়। দুধ সাদা জিনসে ঋতুপর্ণা বনিদের ঐক্যতানের কনসার্ট টায় কেমন জানি বিভোর হয়ে থাকল, রাত কিছু কম কালো, গড়িয়াহাটার পুল উঁচু। সুতরাং টালমাটাল। কারবার( কার যখন বারে রূপান্তরিত হয়) যখন বন্ধ, বোতলেরা গুনিজন লেকের ধারে প্রপাত।একটা গান মাথায় যেমন ঘোরে তেমন ঘুরছিল কিন্তু ঝামেলাটা হল, স্কুল ড্রসের মেয়েটি সাদা- কমলার কম্বিনেশনে থেকেও শিউলি হল না কেন ! এই সময় রনে -বনে -জলে- জঙ্গলে ঐশ্বর্য রাই-এর কথা স্মরণ করতে হ্য়। উদ্ধার কর ।আমায় উদ্ধার কর ।
ঐশ্বর্য এল বটে। ওলিম্পিক্সের ৫ খানা গোল্লার মত চোখ করে বলল, সিস্টেম ফেলিওর ।সকাল থেকে ফোন আসছে, এখনও কাজে বেরোইনি। মাথার মধ্যে টিপটিপ বৃষ্টি। বন্ধ কলের নিচে ক্যাটকেটে লাল আর জীর্ণ সবুজ বালতির নাছোড়বান্দা পড়ে থাকা।ঘরের শোলার হলুদ পাখি দুলতে দুলতে ফিকে হয়ে যাচ্ছে, বিপদ, ভীষণ বিপদ, ডেস্কটপ থেকে হাওয়া ঐশ্বর্য রাই তার সাথে আপাত জরুরী কিছু ফাইল পত্তর।